প্রত্যয় ঢাকা ডেস্ক : রোববার রাত পৌনে ১২টায় ঢাকার ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে হাজী সেলিমের ব্যক্তিগত সচিব জানিয়েছেন।গুলশান আরার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। হাজী সেলিমদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন তিনি।অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার (বর্তমানে কাউন্সিলর) ছিলেন গুলশান আরা।এক সময়ের ওয়ার্ড কমিশনার হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমও সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার আগে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন।
হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ব্যক্তিগত সচিব মহিউদ্দিন মাহমুদ বেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গুলশান আরা দীর্ঘদিন ডায়াবেটিকস, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ ও লিভার সমস্যায় ভুগছিলেন।২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল গুলশান আরাকে।“প্রায় ২০ মাস সেখান চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এবছরের ২০ অগাস্ট এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় এনে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়,” বলেন বেলাল।
তিনি বলেন, গত সাতদিন ধরে আইসিইউতে ছিলেন তিনি।তিনি বলেন, হাজী সেলিমও বর্তমানে ল্যাবএইড হাসপাতালে রয়েছেন।
হাজী সেলিমের তিন ছেলে হলেন সোলায়মান সেলিম, ইরফান সেলিম ও সালমান সেলিম।ইরফান এখন কারাগারে রয়েছেন।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ইরফানকে গ্রেপ্তার করার আগে হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল র্যাব। তবে তখন হাজী সেলিম কিংবা তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না।